বিশেষ প্রতিবেদক
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিং এর মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামস মোহাম্মদ জগলুল হোসেন গতকাল ২৭ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (চঃ দাঃ) ও সাময়িক বরখাস্তকৃত নৌ প্রকৌশলী ড.এস এম নাজমুল হক এবং তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা নং-১৪ তারিখ-৩০/০৭/২০২৩। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদক জি আর নং- ৭৬/২৩। ধারা: দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১), দন্ডবিধি -১০৯ ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা। দুদক, প্রধান কার্যালয় ঢাকা এর উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
ড.এস এম নাজমুল হক ২০১৮ সালের ১২ই এপ্রিল পাঁচ (৫) লাখ ঘুষের নগদ টাকা সহ সেগুন বাগিচার হোটেল সেগুনে হাতেনাতে দুদকের কাছে গ্রেফতার হন। উক্ত মামলাটি এখন বিশেষ জজ আদালত-১০, ঢাকাতে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে। ঐ মামলার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুসহ তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্থ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য তার বিরুদ্ধে দুদক আরো একটি মামলা দায়ের করেছে যার নং দুদক জি আর-১৬/২০২০। ঢাকা মেট্রো বিশেষ মামলা নং-৩১/২০২০। উক্ত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালত ঢাকাতে বিচারাধীন রয়েছে।
আওয়ামী সরকার এবং শেখ পরিবারের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিং এর মামলার বিষয়ে তিনি এতটাই প্রভাব বিস্তার করেন যে, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
প্রকৌশলী ড.এস এম নাজমুল হক এখন পর্যন্ত তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সমগ্র নৌ- সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছেন। পরপর তিনটি দুর্নীতির মামলা হওয়ার পরেও তিনি চাকুরীতে বহাল রয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। ইতিপুর্বে তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী মো: আনিসুল হক এবং তার বান্ধবী এড: তৌফিকা করিমের সহায়তায় ফাঁদ মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার জামিনে প্রভাব খাটিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালত ঢাকা থেকে জামিন প্রাপ্ত হন।