টঙ্গী থেকে শাহজালাল দেওয়ান: টঙ্গীর তুরাগ তীরে মঙ্গলবার মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুয়ারী নেজাম) মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের এ বছরের জোড় ইজতেমা। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শুরু হওয়া মোনাজাত ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। এর আগে ফজরের নামাজের পর হেদায়েতমূলক বয়ান দেন ভারতের বোম্বে থেকে আগত মাওলানা আব্দুর রহমান, যা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। পরবর্তীতে নসিহতমূলক বয়ান এবং মোনাজাত পরিচালিত হয়, যার বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। মোনাজাতে অংশ নিতে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সমবেত হন। এবারের জোড় ইজতেমায় দেশীয় মুসল্লিদের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩ চিল্লায় অংশগ্রহণকারী সাথীরাও যোগ দেন। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুয়ারী নেজাম) মাওলানা জোবায়ের পন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিব উল্লাহ রায়হান জানান, এ বছর জোড় ইজতেমায় দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক মুরুব্বি অংশগ্রহণ করেছেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই ইজতেমা পরবর্তী বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনের নির্দেশনা প্রদান করে শেষ হয়। ইজতেমার চার দিনের মধ্যে ৪ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রংপুর জেলার হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুরের কাউসার আলী (২৮), সিরাজগঞ্জের শহিদুল ইসলাম (৬৫) এবং ফরিদপুরের আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২)। শেষ দিনে মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান।